মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে জামালদী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারধরের ঘটনায় মামলা করায় বাদীর পরিবারকে একঘরে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ টিপুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খোরশেদা বেগম সোমবার দুপুরে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৩ জুলাই হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে টিপু ওর তার সহযোগীরা একই গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী খোরশেদা বেগম'কে মারধর এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। সেদিনের ওই ঘটনায় মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে টিপু সহ ৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান আসামি টিপুকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। পরে ৯দিন কারাভোগে থাকার পর গেল বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পায় টিপু। জামিনে মুক্তি পেয়ে টিপু ও তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে মোহাম্মদ আলীকে।
মামলা তুলে না নেওয়ার কারণে ওই পরিবারের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করায় গ্রামের অন্যরা তাদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী খোরশেদা বেগম থানায় আরেক টি অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী খোরশেদা বেগম জানান, এলাকার সন্ত্রাস টিপু সহ ১০/১৫ জন সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাকে এবং তার পরিবারকে একঘরে করে রেখেছেন। ফলে তারা অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে এবং বাজার সদাই করতে, এমনকি মসজিদে যেতে পর্যন্ত বাধা দিচ্ছেন টিপু ও তার সহযোগীরা।
সমাজ থেকে বহিষ্কার করলে তারা সমাজে কীভাবে আছে উল্লেখ করে অভিযুক্ত টিপু বলেন, কোথাও কেউ তাদেরকে মারধরও করেনি, বাধাও দেয়নি।
এবিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।