বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সোমবার রাতে অঝোরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের দরুন বিভিন্ন রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকার রাস্তা - ঘাট - ড্রেন ধসে পড়ায় বসত বাড়ি ঘর নিয়ে শন্কায় রয়েছেন। বৃষ্টিপাতে উপজেলার নদী-নালা খাল - বিল গাড়ি, পানিতে টইটম্বুর ও কিছু এলাকায় সদ্য রোপন করা আমন ধানের চারা তলিয়ে গেছে।
স্হানীয় সুএে জানাগেছে, গতকালই ছিলো নদী নালা খাল বিল, পুকুর পানির জন্য হাহাকার অবস্হা। তলায় পরে ছিলো পানি প্রবাহ। কিন্তু সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে রাত আটটার পর ভাড়ী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যমুনা নদী পাহাড়ী ঢলের পানিতে ভোরে উঠলেও, বাঙালি ও সূখদহ নদী বৃষ্টির পানিতে টই টুম্বুর হয়েছে। মূলত রাতের এই বৃষ্টিপাতই নদী নালা, খাল - বিল গাড়ি টইটুম্বর হয়েছে। নদী পাড়ের লোকজনেরা এক রাতের বৃষ্টি পাতে নদী ভরাট হওয়ার দৃশ্য দেখতে সারাদিন নদী পাড়ে ভিড় জমান। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ভাড়ী বৃষ্টিপাত অনেক দিন পর দেখলাম। এছাড়াও বৃষ্টিপাতে সারিয়াকান্দি - ভেলা বাড়ি, হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা ও নারচির রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে। এমনটাই ধ্বসে গেছে যে, যেকোনো মুহূর্তে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হতে পারে। এছারাও সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বিভিন্ন স্হানে রাস্তা ঘাট ডুবে থাকায় স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্হা ব্যাহত হয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেন পানির তোড়ে ধ্বসে পড়েছে। বিশেষ করে প্রধান সড়কে ধারে বাঙালি নদীতে পড়া ড্রেনের মাথায় ধসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। পৌর এলাকার শালুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোমর পরিমাণ পানি জমেছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইরানি আক্তার বলেন, মাঠে ওই পরিমাণ পানি জমার কারণে মঙ্গলবার ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও সোমবার রাতের বৃষ্টিতে সদ্য রোপন করা আমনের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমন ধান তলিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু ২/১ দিন রোদ হলেই তা স্বাভাবিক হবে।