কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকার হ্রদে অতিরিক্ত কচুরিপানার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি লাইনে ইঞ্জিন চালিত বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। কচুরিপানা জঞ্জাল অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) সকালে কাপ্তাই উপজেলার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপষ্ট্রিম জেটিঘাট এলাকা সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। গত এক সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদে লাগাতার বৃষ্টির ফলে চারদিক হতে ছুটে আসে কচুরিপানা। হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা এসে জেটিঘাট ব্যবসায়ী কেন্দ্র, কার্গো, জেলে পাড়া, সমিলসহ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। যার ফলে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি উপজেলা নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোন নৌ-চালাচল করতে না পাড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছে এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারী শত শত সাধারণ যাত্রী এবং বোট চালকরা।
কাপ্তাই জেটিঘাট পল্টুন সংলগ্ন ১ কি: মি: এলাকা জুড়ে কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার বিশাল বহর। মাত্র ৫ মিনিটের জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগছে প্রায় ঘন্টার উপর। যার ফলে মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) হতে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি লাইনে ইঞ্জিন চালিত বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল সরকার জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত একটি ইঞ্জিন চালিত বোট জেটিঘাট হতে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেই মাঝ পথে কচুরিপানার জঞ্জালে আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পল্টুনে ফিরে আসতে হয় বোটটি।
কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য চাষী মো: ইউনুস জানান, বিগত ১ সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদ এবং এর আশপাশে লাগাতার বৃষ্টির ফলে পাহাড়ী ঢলের সাথে চারদিক হতে ছুটে আসে কচুরিপানার জঞ্জাল। হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা এসে জেটিঘাট পল্টুন, কার্গো এলাকা, জেলে পাড়া, স'মিল, কাপ্তাই বাঁধ, শহীদ শামসুদ্দিন ঘাটসহ জেটিঘাটের আশপাশে এলাকায় এসে কচুরিপানার জঞ্জাল সৃষ্টি হয়। যার ফলে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি উপজেলা নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোন নৌ চলাচল করতে না পাড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পড়ছে সাধারন লোকজন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী কালাম ও কণা তনচংগ্যা জানান, বিশাল কচুরিপানা জটের ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা হতে উৎপাদিত ফসল কৃষকরা বাজারে আনতে পারছে না। এতে করে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ছাড়া বিশাল কচুরিপানা যানজটের ফলে সকল ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের পথে।
কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, কচুরিপানা জটের ফলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি পরিবার হ্রদে আটকে পড়ায় বহু কষ্ট করে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ রাখছি হ্রদ হতে কচুরিপানা অপসারণের জন্য। ইতোমধ্যে পিডিবি কর্তৃপক্ষ কিছু কচুরিপানা অপসারণ করেছেন। সামনে আরোও কিছু অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।