উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের ফসলি জমি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশের জমির মালিকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে অভিযোগ দিলে নির্বাহী অফিসার শনিবার ড্রেজার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেবলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের আবুল হোসেন প্যাদার ফসলী জমির গভীর থেকে সুমন তালুকদা বালু ও মাটি উত্তোলন করায় আশেপাশের জমি ভেঙ্গে পড়ছে। শনিবার সকালে পাসের জমির মালিক সোবাহান মোল্লা, এচলাম হাওলাদার, খবির মোল্লা একসাথে একই উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের আলমগীর তালুকদারের ছেলে ড্রেজার মালিক সুমন তালুকদারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মালিক সোবাহান মোল্লা ও এচলাম হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সুমন তালুকদার বালুউত্তলন করে বিক্রী করে আসছিলো। জমির মালিক আবুল হোসেন প্যাদা এলাকায় না থাকার সুবাদে সুমন তালুকদার তার মতো করে বালু উত্তোলন করে বিক্রী করে আসছে। তাকে নিষেধ করার পরেও সে বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি। একারনে ফসলী জমির চারিপাশের জমির ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই আমারা চারি পাসের জমির মালিকেরা এক সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনের জানায়, জমির মালিক এলাকা থাকেন না বিধায় তাকে পাওয়া জায়নি। তাই ড্রেজার মালিক সুমন তালুকদাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন না করার মুচলেখা দিয়েছেন। ড্রেজার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদাদের কাছে জিম্মায় দেওয়া হয়।