ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনের মাটিতে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই ড্রোনগুলো একদিকে যেমন সহজলভ্য অন্যদিকে নিখুঁত হামলা চালাতে পারদর্শী। এবার নিজস্ব প্রযুক্তিতে শাহেদ ড্রোনের সিরিজগুলো তৈরিতে নেমেছে মস্কো। সামরিক ড্রোন নিয়ে গবেষণা করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা এমন তথ্য সামনে এনেছে। তাদের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন নথিভুক্ত করেছে কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর)। কয়েকটি ড্রোনের যন্ত্রাংশে রুশ শব্দ জেরানিয়াম (জেরান) লেখা পাওয়া গেছে। যা রাশিয়ার তৈরি। গবেষণায় বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে যে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে সেসব ইরানের তৈরি শাহেদণ্ড১৩১ ও শাহেদণ্ড১৩৬ মডেলের। কিন্তু গত মাসে ইউক্রেনে ব্যবহৃত দুটি ‘জেরান-২’ মডেলের অবকাঠামো হাতে এসেছে (সিএআর)-এর তদন্তকারীদের। এ নিয়ে বিস্তর পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। ফলাফলে দেখা যায়, ইরানের তৈরি শাহেদণ্ড১৩৬ এর আদলে রাশিয়া নিজেরাই ড্রোন তৈরি করছে। ড্রোনগুলোতে বড় পার্থক্য রয়েছে বলেও বেরিয়ে এসেছে তদন্তে। এতে দ্রুত উৎপাদনও সম্ভব হবে। এই ক্ষমতাকে রাশিয়ার জন্য মোড় পরিবর্তনকারী টার্নিং পয়েন্ট বলে বর্ণনা করেছেন গবেষকরা। ইউক্রেনে হামলা ধরে রাখতে এখন রাশিয়ার একাধিক পথ তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাশিয়াকে তিন মডেলের ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান। সেগুলো হলো, শাহেদ ১৩১ ও ১৩৬ কামিকাজে ড্রোন। এগুলোকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সস্তা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া মোহাজের-৬ মাল্টি রোল ড্রোনও বেশ কার্যকরী। এগুলোকে সাধাণরত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। মস্কোকে ড্রোন সরবরাহে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও ইরানকে থামানো যাচ্ছে না। যদিও পশ্চিমাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটি। সূত্র: সিএনএন