রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নাম্বার ক্লোন করে প্রতারণার দায়ে রাকিবুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল লালমনিরহাটের কেরানীগঞ্জের মহিশামুড়ি এলাকার আলতাফ মাস্টারের ছেলে। আর একই মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামি মাইদুল ইসলাম মিলন ও সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান এই আদেশ ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা ইউএনও’র মুঠোফোন নাম্বার ক্লোন করে এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল ইসলাম একই উপজেলার শামসুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে চান। এরপর শামসুল ইসলাম ২৮ হাজার টাকা পাঠায়। পরে টাকাটি পেয়েছে কী না জানতে কল করলে তা না জানিয়েই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তখন বিষয়টি সন্দেহ হলে পুরো ঘটনাটি ইউএনও কে শামসুল ইসলাম জানান। এরপরই প্রকৃত ঘটনা জানা গেলে ইউএনও’র পরামর্শে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী শামসুল ইসলাম।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. ইশমত আরা বলেন, দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামি রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অপর একটি ধারায় অভিযুক্ত আসামি রাকিবুলকে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
একই মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যের বিষয়ে পিপি বলেন, মামলায় মাইদুল ইসলাম মিলন ও সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান।