বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দেয়া প্রত্যয়নপত্র ছিড়ে ফেললো আগৈলঝাড়ায় সাব রেজিষ্ট্রার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যান সাব রেজিষ্ট্রার অফিসারকে হুমকি দিয়েছে বালে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সকল দলিল লেখকরা দলিল লেখা বন্ধ রেখেছে। সাব রেজিষ্ট্রার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছে।
স্থারীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় গ্রামের দানিয়াল বিশ্বাসের ছেলে আনন্দ বিশ্বাস তার ভাই অসীম বিশ্বাস ও অনিল বিশ্বাসকে সাড়ে ১১শতাংশ জায়গার দলিল দিচ্ছিলো। আগৈলঝাড়ার দলিল লেখক অসীম পান্ডে দলিল লিখে সাবরেজিষ্ট্রার পার্থ প্রতিম মুর্খাজী কাছে জমা দেয়। কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচপত্রে দাতা ও গ্রহীতার পিতা মাতার নাম মিল না থাকায় সাবরেজিষ্ট্রার দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে একথা জানিয়ে দেয় দলিল লেখককে। কাগজপত্রে ও জাতীয় পরিচয়পত্রে যে নাম তারা একই ব্যাক্তি এইমর্মে স্থানীয় চেয়াম্যানের কাছথেকে একটি প্রত্যায়নেয়। দলিল লেখক র্পূণারায় বুধবার চেয়াম্যানের প্রত্যায়ন নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে রেজিস্ট্রি চেয়াম্যানের দেয়া প্রত্যায়নপত্র ছিড়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। একথা চেয়াম্যান জানতে পরে সাবরেজিষ্টার অফিসে গিয়ে সাবরেজিষ্ট্রার গালমন্দ সহ হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আগৈলঝাড়ার লাইসেন্স প্রাপ্ত ৩০ জন দলিল লেখক দলিল লেখা বন্ধ করে দেয়। সারদিনে কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়নাই। বাগধা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হৃদয় রায় প্রদীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সাবরেজিষ্ট্রারের ঘুষনেবার বিষয়ে অভিযোগ করেন। দলিল লেখক অসীম পান্ডে জানায়, সাবরেজিষ্ট্রার স্যার চেয়াম্যানের প্রত্যায়নপত্র খানা ছিড়ে আমার গায়ের উপরে ছুড়ে মেরেছে।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার পার্থ প্রতিম মুর্খাজী জানায়, উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রির দেয় প্রত্যায়নপত্র খানা আমি ছিড়ে ফেলেছি এ কথা সত্য। কিন্তু আমার অফিসে এসে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাচ করে আমাকে দেখে নেবার হুমকিদেছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন স্যারকে সহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্মাদের জানিয়েছি।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়ার বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্রি গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলার নাঘিরপাড় গ্রামের আনন্দ বিশ্বাস, পিতা মৃত: মানিয়েল বিশ্বাস ওরফে দানিয়েল বিশ্বাস, মাতা মৃত: শোভা বিশ্বাস ওরফে পুতুল বিশ্বাস। মুলত তার মাতা মৃত: শোখা বিশ্বাস ওরফে পুতুল বিশ্বাস একই ব্যক্তি এই মর্মে আমি এক প্রত্যায়নপত্র দেই।ওই প্রত্যায়নপত্র খানা সাবরেজিষ্ট্রার পার্থ প্রতিম মুর্খাজী ছিড়ে ফেলেছে এই বিয়টি আমি তার কাছে সুদু জানতে চেছি কেনো ছিড়ে ফেলছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবরেজিষ্টার ও চেয়ারম্যানের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমি বরিশাল জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি। সাবরেজিষ্টার ও চেয়ারম্যানের উভয়কে কথা শুনেছি। বিষয়টি কি করায়ায় আমি জেলা প্রশাসক স্যারকে সাথে আলাপ করে সিধান্ত নিবো।
আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়,আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। সাবরেজিষ্টার এর সাথে কথা বলেছি। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তকরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।