নওগাঁর মান্দায় চাঁদা দাবির একটি মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলা তুলে না নিলে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করার হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন মামলার বাদি। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন চাঁদা দাবি মামলার বাদি উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের বড়চকচম্পক গ্রামের আবদুল জলিল। লিখিত বক্তব্যে আবদুল জলিল বলেন, চকরামানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিন, আবদুল মান্নানসহ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ১৯ জানুয়ারি নওগাঁ আদালতে চাঁদা দাবির মামলা করি। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মান্দা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশের প্রতিবেদনের পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। মামলার বাদি অভিযোগ করে বলেন, ‘সমন জারির পর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ারসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়নারীর হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব ঘটনায় গত ১৪ আগস্ট নওগাঁ আদালতে ১০৭ ধারায় আরেকটি মামলা করেছি।’ সংবাদ সম্মেলনে আবদুল জলিল আরও বলেন, ‘এসব ঘটনার জের ধরে গত ২৭ আগস্ট আমার ভোগদলীয় জমিতে লাগানো দেড় শতাধিক ইউক্যালিপটাসের গাছ তুলে নষ্ট করে দেয় আসামিরা। এতে বাধা দেওয়ায় আসামিদের সঙ্গে আমাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। ঘটনায় আসামি সোলাইমান প্রামাণিকের ফার্নিচারের দোকান ভাঙ্চুর ও টাকা লুটের অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি মিথা অভিযোগ করেন।’ এ প্রসঙ্গে জানতে দোকানঘর ভাঙ্চুর ও টাকা লুট ঘটনার অভিযোগকারী সোলাইমান আলী প্রামাণিকের মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ফার্নিচারের দোকান ভাঙ্চুর ও টাকা লুট সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।