বর্তমানে পশু হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয় ও জরাজীর্ণ। অনেক স্থানেই চকচকে হাসপাতাল থাকলেও ঔষুধ নেই। প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। সম্প্রতি আবার চিকিৎসকও নেই। এক কথায় বেহাল অবস্থা হাসপাতালগুলোর। এতে ওই জেলাগুলোর মানুষদের পোষা প্রানীদের নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই, রয়েছে নানা অভিযোগ। ফলে মিলছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা এবং ওষুধ। গৃহ-পালিত পশুদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসে জুটছে অবহেলা। স্বাভাবিকভাবে থমকে রয়েছে পশুদের চিকিৎসা পরিষেবা। পশুদের নিত্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে এসেও বাসিন্দাদের ফিরে যেতে হয়। চিকিৎসার অভাবে প্রচুর গৃহপালিত পশুর প্রতি বছর অকালে মৃত্যু হয়। এভাবে আর কত দিন চলবে? পশু হাসপাতালে চিকিৎসকদের দেখা মেলে না বললেই চলে। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রাণী পালকরা। সরকার গরিব মানুষদের জন্য পশু হাসপাতাল করেছে। যদি পরিষেবাই না মেলে তাহলে আর থেকে কী হবে? এর থেকে বন্ধ করে দেয়া ভালো। তাই এ অবস্থান থেকে পরিত্রান পেতে সরকারের উচিত পরিষেবা যাতে বন্ধ না হয়, তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। ‘‘সারা রাজ্য জুড়েই প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরে কর্মী নেই, ওষুধ নেই। শুধু মুরগির ছানা বিলি চলছে। আর টিকার জন্য গ্রামে গ্রামে শিবির করতে বলা হচ্ছে।” অথচ হাসপাতাল গুলোতে পরিকাঠামোর কোনো বালাই নেই। যেমন জটিল অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকলেও কোনো অন্তর্বিভাগ নেই। অস্ত্রোপচারের পর ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে হয় পশুদের। অথবা গুরুতর অসুস্থ কোনো পশুকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য কোনো অ্যাম্বুল্যান্সেরও ব্যবস্থা নেই। যে ওষুধ হাসপাতালে থেকে বিনামূল্যে পাওয়ার কথায় সেগুলোই টাকা দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এটি রাষ্ট্রের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। হাসপাতালের ভবনগুলোও সংস্কার করা প্রয়োজন। হাসপাতালের পুরোনো আসবাপত্র ফেলে নতুন আসবাপত্রের ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ সেগুলোর প্রতি ও দৃষ্টি আর্কষন করা। যেমন অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, প্রাথমিক অস্ত্রোপচার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব প্রভৃতি, পশু চিকিৎসা সেবার খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাড়ানো, হাসপাতালে প্রাণীদের রেখে চিকিৎসা করানোর জন্য ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ হাসপাতালের সংস্কার করা হলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রাণীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে।