যশোরের চৌগাছায় বৈদ্যুতিক মোটরের লাইন পুকুরের পানির এক ফুট নিচে দিয়ে টানা হয়েছে। পল্লী বৈদ্যুতিক লাইন পুকুরের এক ফুট পানির নিচে ঝুলে রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয়দের আশঙ্কায় সেখানকার বিদ্যুৎ লাইনে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের আন্দারকোটা ও খড়িঞ্চা নওদাপাড়া গ্রামের বাওড় এলাকায় বিদ্যুতের এ বেহাল অবস্থা। পল্লী বৈদ্যুতিক লাইন পুকুরের এক ফুট পানির নিছে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পড়ে রয়েছে। প্রায় এলাকাতেই জরাজীর্ণ তার এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ তারে টানানো এই লাইন মেরামতের অভাবে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে রয়েছে। দেখে মনে হয় যেন বৈদ্যুতিক লাইন পানির নিচ দিয়ে টানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় পুকুরের পানিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ সৃষ্টি হয়ে প্রাণ হানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানান তারা।
২০২৩ সালের গেল ৮ মাসের বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ¯পৃষ্টে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ¯পৃষ্টে আহত হয়েছেন অনেকে। নিহতদের মধ্যে কলেজ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ ও কৃষক রয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিমত বিদ্যুতের যথাইচ্ছা সাইড লাইন ব্যবহার করা। অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যুৎ আইন না মেনেই বিশেষ সুবিধা নিয়ে লাইন সংযোগ দেওয়ায় হরহামেশায় বিদ্যুৎ¯পৃষ্টে মানুষের মৃত্যু ঘটছে। ইচ্ছামত সাইড লাইন টেনে মোটর চালিয়ে পুকুরে পানি, ভ্যান-ইজিবাইক চার্য দেওয়াসহ মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। এসব ঘটনা জানার পরেও অদৃশ্য কারণে কর্মকর্তারা কিছুই বলছেন না। ফলে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুৎ¯পৃষ্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। মরছে মানুষ ও বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী।
স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংযোগ ও সাইড লাইনে বাঁধা না দেওয়ায় হরহামেশায় বিদ্যুৎ¯পৃষ্টে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সাইড লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রহস্থ হচ্ছে গ্রহকরা ও হরহামেশায় ঘটছে দুর্ঘটনা। মোটর সংযোগের তার পানিতে পড়ে রয়েছে বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি বলেছি পিলার দিয়ে তারটি উঁচু করে দিতে। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি। তার পানিতে পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে চৌগাছা জোনাল অফিসের এজিএমকম ইমতিয়াজ আহমদে বলেন, আন্দারকোটা-খড়িঞ্চা নওদাপাড়া এলাকা পুড়াপাড়া অফিসের আওতায় সেখানে যোগাযোগ করেন। আর কোনো পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে পুড়াপাড়া পল্লীবিদ্যুৎ অসিসের সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের জানাছিলো না। পুকুরের পানিতে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে এমন ঘটনার জন্য গ্রহক নিজেই দায়ী। খবর নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেব।