পাকিস্তানের পেস বিভাগে হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে নিয়েই বিশ্বকাপ দল ঘোষণার কথা ছিল। অথচ এই তিনজনের ভিড়ে উপেক্ষিত থাকা হাসান আলী জায়গা পেয়ে গেলেন। নাসিমের ইনজুরিতে কপাল খুললো ২০১৭ সালে পাকিস্তানের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের নায়ক ও ওই আসরের সেরা খেলোয়াড়ের। শুক্রবার বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাতে প্রত্যাশিতভাবে জায়গা হয়নি এশিয়া কাপে চোট পাওয়া নাসিমের। প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের মতে হারিস, শাহীনের সঙ্গে পেস আক্রমণে নাসিমের সেরা বিকল্প হাসান। ইনজামাম বলেন, ‘নাসিম যেভাবে ইনজুরিতে পড়লো, আমরা সমস্যায় পড়েছিলাম। এ কারণেই আমরা হাসানকে নিলাম, যে কি না সম্প্রতি খুব বেশি খেলেনি, কিন্তু অভিজ্ঞ।’ এশিয়া কাপের সুপার ফোরেই ছিটকে যাওয়া পাকিস্তানের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ হারিস। ওপেনার ফখর জামান এশিয়া কাপে চার ইনিংসে ৬৫ রান করেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নাম লিখেছেন। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব খান ছিলেন আলোচনায়। এশিয়া কাপে ফর্মহীন ছিলেন তিনি, শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে নেন মাত্র ৬ উইকেট। ধারণা করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেলেও সহঅধিনায়কত্ব হারাবেন। শেষ পর্যন্ত জায়গাও হারাননি, ধরে রেখেছেন সহঅধিনায়কের পদও। প্রত্যাশিতভাবে আবারও বিশ্বকাপ দলকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। আগামী ৬ অক্টোবর হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শুরু হবে পাকিস্তানের মিশন। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ইনজামাম এই দল নিয়ে আশাবাদী, ‘ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট বিশ্বকাপ। আমরা সেরা ১৫ জনকে বাছাই করেছি এবং আমরা আশা করি তারা আমাদের ট্রফি জেতাবে।’
স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম উল হক, আব্দুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতিখার আহমেদ, সৌদ শাকিল, সালমান আলী আগা, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, উসামা মীর, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম।
ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ: জামান খান, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ হারিস।