কক্সবাজারের রামুতে মাদক কারবারিদের হামলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও স্ত্রী-সন্তান আহত হয়েছেন। রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব উমখালী গনি সওদাগর পাড়া এলাকায় গত শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ২ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত প্রতিবন্ধী হাফেজ আহমদ ও তার স্ত্রী কহিনুর আক্তার ও ছেলে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহীম কাওছার বাপ্পী। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ। এ নিয়ে রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন হামলার শিকার কহিনুর আক্তার।
হামলায় আহত প্রতিবন্ধী হাফেজ আহমদ জানান- স্থানীয় মৃত গোলাম সোবহানের ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি, মাদক, নারী নির্যাতন ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি আবদুল খালেক, আবদুল মাজেদ এবং তাদের অপর ভাই আবদুল মালেক, আবদুল গফুর ও আবদুল মতলবের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান- শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাফেজ আহমদকে হামলাকারিরা তাদের বাড়িতে নিয়ে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে স্বামীকে রক্ষা করতে এসে হামলার শিকার হন কহিনুর আক্তার ও ছেলে ইব্রাহীম কাউছার বাপ্পী। এ সময় হামলাকারিরা কহিনুর আক্তারকে বিবস্ত্র করে লাটিসোটা দিয়ে ও শারীরিকভাবে প্রহার করা হয়। হামলায় আহতদের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
হামলার শিকার কহিনুর আক্তার জানান- জুমার নামাজের পর তিনি সপরিবারে একটি বিয়েতে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এজন্য তিনি গলায় দেড় ভরি ওজনের র্স্বনের চেইন ও হাতে ১ ভরি ৪ আনা ওজনের একটি ব্রেসলেট পরেন। এমন সময় হামলার ঘটনা ঘটলে হামলাকারিরা তার গলায় ও হাত থাকা এসব স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও হামলাকারিরা তার পরনের কাপড় ছিড়ে এবং একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করে।
স্থানীয়রা জানান- হামলায় নেতৃত্ব দেয়া আবদুল খালেক ও আবদুল মাজেদ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক (ইয়াবা), নারী নির্যাতন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ইতঃপূর্বে এলাকার অসংখ্য পরিবার তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থবিত্ত গড়ে তোলায় তাদের অত্যাচার-নির্যাতন নিয়ে কেউ মুখ খোলারও সাহস পায়না।
হামলায় অভিযুক্ত আবদুল মতলব জানান- তাদের স্বত্বদখলীয় জমিতে তারা গাছ রোপন করেছিলেন। হাফেজ আহমদ জমিটি নিজের বলে দাবি করলে দুপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি হামলায় জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করে জানান- মারধরের সময় তিনি ভাইদের বারণ করতে গিয়েছিলেন।
রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ জানান- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মাধরেরর ঘটনায় কহিনুর আক্তার বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছে। এটি বর্তমানে তদন্তাধিন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।