শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার বাবু দেবীরঞ্জনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধার বিরুদ্ধে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসের জন্য দীর্ঘদিনের নির্ধারিত জায়গা জবর দখলে বাঁধা পেয়ে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে উপজেলার ৭ নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঐ কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাথে একজন জনপ্রতিনিধির নাক্কারজনক এমন ঘটনার প্রতিকার দাবি করে বুধবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রাক্তন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু দেবী রঞ্জন মন্ডল জানান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শতাধিক নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় সুন্দরবন তীরবর্তী হরিনগর পাউবো’র বাঁধের উপর। সেসব শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে পাশর্^বর্তী সরকারি খাদ্য গুদাম-সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত জায়গা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধারা অফিস তৈরীর জন্য সংরক্ষন করে আসছে। তিনি আরও জানান গত ৫ তারিখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা লোকজন নিয়ে সে জমি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তার নেতৃত্বে অপরাপর মুক্তিযোদ্ধারা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অসীম মৃধা তাদের লাঞ্চিত করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দারুনভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করা হয়েছে। ঘটনার কয়েকদিন পরেও কোন প্রতিকার হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযেগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা জানান জায়গাটি মুক্তিযোদ্ধাদের না। রাতারাতি সাইনবোর্ড টানিয়ে ঐ জায়গা দখলের চেষ্টা করায় তিনি বাধা দেয়াতে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিতের অভিযোগ ‘মিথ্যা’ দাবি করে তিনি বলেন, খেলার মাঠে আছি, আসলে দেখা হবে’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে প্রাপক্তন কমান্ডারসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।