আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি করে বাউফল উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃংঙ্খলা ভংগের অভিযোগের কারণ দর্শানোর নোর্টিশ জবাব সস্তোষ না হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপািরশ করেছে জেলা আ.লীগ। উল্লেখ্য: গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবদুল মোতালেব হাওলাদারতার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি করে একটি পোষ্ট দেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি জেলা আ.লীগের নজরে আসলে তিন দিনের সময় বেধে দিয়ে আবদুল মোতালেব হাওলাদার কে কারণ দর্শানোর নোর্টিশ দেওয়া হয়। তার কারণ দর্শানোর নোর্টিশের জবাবে সন্তষ্ট না হওয়ায় জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান ৯অক্টোবর যৌত স্বাক্ষরিত দলীয় শৃংঙ্খলা ভংগের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ সহকারে কারণ দর্শানোর জবাব সহ বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি নিকট প্রেরন করা হয়েছে। এ বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান বলেন“ উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এমন স্টাটাস দিতে পারেন না। তিনি এর আগেও বার বার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জেলা আওয়ামী লীগ ২০২১সালে শতর্ক ও ২০২২ শোকজ নোটিশ করেছেন। তিনি কোন গোষ্ঠীকে খুশি করে দলকে হেয় প্রতিপন্ন করার মত এহেন জঘন্য কাজে লিপ্ত রয়েছেন বলে আমি মনে করি। জেলা আ.লীগ বাংলদেশ আ.লীগের সাধারন সম্পাদক বরাবরে তার (মোতালেব হাওলাদার) বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে সেটা সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্বান্ত। আমি জেলা আওয়ামীলীগকে সাধুবাদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগকে মোতালেব হাওলাদারের বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই”।