জামালপুরের সরিষাবাড়িতে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, একাত্তরের রনাঙ্গনের সূর্য্য সৈনিক বীর মুক্তিমোদ্ধাদের সাথে প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে সরিষাবাড়ি আরড়িএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হঢ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ১৪১, জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসনে আগামী দ্বাধশ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রাণী ও মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আহবুবুর রহমান হেলাল। মাহবুবুর রহমান হেলাল তার বক্তব্যে বলেন,আমি গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং দলীয় নেতাদের পরামর্শক্রমে বিশেষ করে নির্বাচনের স্বার্থে আমি আমার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করি। এ বছর আবারো আমি মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন যাবত হাটে ঘাটে মাঠে গ্রাম গঞ্জে গন সংযোগ করে আসছি। আমার জীবনের সর্ব সুখ শান্তি ত্যাগ করে জন গনের পাশে দাঁড়িয়ে আমি নিরলস ভাবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মরহুম আঃ মালেক ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, শুধু তাই সয় তিনি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টের দুই দুইবারের সাংসদ এবং সরিষাবাড়ি উপজেলায় দীর্ঘ ৪০ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ফজলুল হক সরিষাবাড়ি উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে প্রকৌশলী সাহবুবুর রহমান হেলালকে সরিষাবাড়ি আসনে নৌকায় মনোসযন প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানান।। এর আগে প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল পৌর সভার কামরাকাদ এলাকায় পারিবারিক গোরস্থান মসজিদে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অন্যান্য মুছুল্লীদের সাথে জুমার নামাজ আদায করেন। জুম্মা নামাজে মধ্য প্রাচ্যে নির্যাতিত নিপীড়িত স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া কামনা করেন। সেই সাথে তার বাবাবীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আ: মালেকের কবর জিয়ারত করেন। এরপর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মতবিনিময় সভার কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।