নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক অটো রাইস মিলে কাজ করতো দুই শ্রমিক। উভয়ে মেশিন দিয়ে ধান পরিস্কার করছিল। এ সময় ইয়ার্কির ( মশকড়া) করে ধান পরিস্কার করা মেশিনের বাতাস মোরশেদুল অপর সহকর্মী অধীর চন্দ্র ( ৪৫) এর পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় তার পেট ফুলে গিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মালিপাড়ায়। ওইদিন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। নিহত অধীর চন্দ্র খাতামধুপুর ইউনিয়িনের মালিপাড়ার ওভেন চন্দ্রের ছেলে। সে ওই ইউনিয়নে অবস্থিত আলহাজ¦ নমীর উদ্দীন অটো রাইসমিলের শ্রমিক। শুক্তবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। সৈয়দপুর থানার পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের সহকর্মী মোরশেদুল (৩৩) নামে একজনকে আটক করেছে। আটক মোরশেদুল জদ্দিপাড়ার রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জদ্দিপাড়ার মো. আকালু মামুদের ছেলে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ওই অটো রাইসমিলের কর্মচারী অধীর চন্দ্র ও মোরশেদুল হাওয়া মেশিন দিয়ে ধান পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় অধিরের শরীর পরিষ্কারের সময় হাওয়া মেশিন দিয়ে মোরশেদুল অধিরের পায়ুপথে হাওয়া দিলে তার পেট ফুলে যায়। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অটোরাইসমিল মালিক নমীর উদ্দীন বলেন, আমি ঘটনার সময় মিলে ছিলাম না। সেখানে ৬ জন কর্মচারী কাজ করছিল। পরে এসে শুনি ধান পরিস্কারের যন্ত্র দিয়ে গায়ের ময়লা পরিস্কারের সময় ভুলবসত পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করলে অধীর চন্দ্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রংপুর হাসপাতেলে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের সহকর্মী মোরশেদুলকে আটক করা হয়েছে।