চট্টগ্রামর হাটহাজারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি নিয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে নানামুখী গুজব চলছে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ কথিত ব্যক্তিকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে থানায় এনে রোববার তাকে বিজ্ঞ আদালত প্রেরন করেছে। উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ লোকজনকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্হানীয়, পূজা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত আটটা/ সাড়ে আটটা থেকে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নেন, ৩ নং ওয়ার্ড সোমবাড়ি পূজা মন্ডপে সাদা কাপড় পরিহিত লম্বা চুল ও দাঁড়ি ওয়ালা এক ব্যক্তি পূজা মন্ডপের ভিতরে ঢুকে একটি টেবিলের পাশে পাতানো চেয়ার দীর্ঘ বসে থাকতে দেখে মন্ডপের কর্মকর্তাতের সন্দেহ হলে বিষয়টি মন্ডপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করেন। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার কাছে পবিত্র কোরআন শরীফ ও আরবি হরফে লেখা কিছু বই উদ্ধার করে। কর্তব্যরত পুলিশের উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন তাকে (আটককৃতকে) জিজ্ঞাসা করলে তার কথা এলোমেলো দেখে মানসিক ভারসাম্য বলে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মসিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কেল শোয়েব আহমদ খাঁন, ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান রাত সাড়ে এগারোটা/বারোটার দিকে এই মন্ডপে উপস্থিত হয়ে কথিত ব্যক্তিকে পুনরায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আটক ব্যক্তি নরসিংদী জেলার, পলাশ থানার, খালিশকারটেক (বাদলের বাড়ি) মোঃ বাদল মিয়ার ছেলে শাহ আলম প্রকাশ আলম (৩৮)। প্রশাসন উপস্থিত পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি তে আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথা এলোমেলো প্রতিয়মান হয় বলে জানান ওসি। রাতে এনে তার বাড়ি এলাকায় খবরাখবর নিয়ে সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে নিশ্চিত হয়। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্হাপত্র সংগ্রহ করা হয় বলে ওসি গতকাল থানায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট প্রদর্শন করেন। তাকে রোববার বিজ্ঞ আদালত প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাছাড়া সর্বস্তরের লোকজনকে কোন প্রকার গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।