ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল থেকে বিভিন্ন স্তানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা থাকায় মানুষের চলাচল অনুপযোগি হয়েে পড়েছে। এটি পাকা করার দাবি করে আসছে দীর্ঘ বছর ধোরে। একটু বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার চাপরাইল থেকে আড়-য়াশলুয়া পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ। এ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার কারণে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন লোকজন যাতায়াত করতে মারাত্নক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এ কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করে থাকে। এ রাস্তার দিয়ে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ ও বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনগণকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা তবু তাদের দাবি পুরন হয়নি।
আলমগীর হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, যার কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীন এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানানোর পরও রাস্তাটি এখনও বেহাল দশায় অবস্থায় পড়ে আছে।আড়ুয়াশলুয়া,অনুপমপুর,বলাকান্দর,চাপরাইল,নগর চাপরাইল,মল্লিকপুর,মস্তবাপুর,বেথুলী,যাটবাড়ীয়া,মনোহরপুরেএইমাঠে,ধান,গম,ভুট্টা,মশুরী,কলা,পাট,কলায়,পানের বরজসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়। বিশেষ করে মাঠের ফসল ওঠার একমাত্র রাস্তা হলো আড়ুয়াশলুয়া গ্রামের রমজান আলীর বাড়ি থেকে মাঠ অভিমুখে খাল পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অধিক ছোটো বড় একাধিক খানা খন্দে এবং কাদায় অত্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজমান থাকাই কোন ধরনের কৃষি পণ্যের গাড়ি বা পায়ে হেঁটে চলাচল করা সম্ভব না।
এলাকার ভুক্তভোগিরা বলছেন দীর্ঘ ১২ বছর যাবত রাস্তাটির এতটাই বেহাল দশা যে ফসল ঘরে তুলতে আমাদের খুব কষ্ট ও মজুরি খরচ বেশি হয়। নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বাবলুর রহমান বলেন, এই রাস্তায় এত বেশি কাদা যে এবার কৃষকদের মাঠের পাট তুলতে ট্রাকটর ব্যবহার করতে হয়েছে। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বারবার অবগত করেছেন ও রাস্তাটি করে দেবেন বলে জানিয়েছিলে। কিন্তু এলাকার সাধারন মানুষের চলাচলে ভাগ্য পরির্তন হয়নি।বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। এসব ব্যপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের। দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোন অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও মুরগির খামারিরাসহ স্থানীয়রা। এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পুরো বর্ষায় কাদামাটি রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তাটি কাদা হয়ে যায়।