পাবনার ঈশ্বরদীতে একদিনে দুই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দাশুড়িয়া ও পাকশী ইউনিয়নে শিক্ষার্থীর নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
এরা হলো উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আমিরুল ইসলামের ১৫ বছরের ছেলে শহীদ মাল ও পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল গ্রামের ইয়াছিন আলীর ১৬ বছরের মেয়ে সুমনা খাতুন। সুমনা ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ছাত্রী ও শহীদ মাল দাশুড়িয়ার দরগাবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো।
পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত গভীর রাতের কোন একসময় দাশুড়িয়া সুলতানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে স্কুলছাত্র শহীদ মালের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সকাল ৯ টার দিকে শহীদের নিজবাড়ির শয়নকক্ষ বাঁশের আড়ায় ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের (উপপরিদর্শক) এসআই নুরুল হুদা জানান, স্কুল ছাত্রের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে মোবাইল কিনে না দেওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী দিয়াড় বাঘইল গ্রামে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ একই কায়দায় ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রী সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রোববার গভীর রাতে সুমনা গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের দাবি।
ঈশ্বরদী থানার এস আই আবদুল মোত্তালেব জানান, খবর পেয়ে সুমনার বাড়ির থেকে মরদেহ করা হয়। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে মারা যাওয়া কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি পুলিশের কাছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা পাঠানো হবে।