গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক প্রতিষ্ঠানের আসা সরকারী বেতন-ভাতা (এমপিও) দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে খাচ্ছে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে উপজেলায় নারী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত হাফিজুর রহমান প্রামানিক তার সহর্ধমিনী মোছাঃ রেজিয়া বেগম এর নামে জমি ক্রয় করে কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের সতীরজান গ্রামে “সতীরজান রেজিয়া জুনিয়র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ইং সালে এমপিওভুক্ত হয়। এমপিও কোড নং- ৮৭০৭০৩১২০৪। ইআইআইএন নম্বর-১২১৬৫৬। প্রয়াত হাফিজুর রহমান প্রামানিক ৮৬, ৮৮ এবং ৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তার ক্ষমতা শেষ প্রান্তে এলে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি বর্মন স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের সহযোগিতা ও যোগসাজসে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত করেন এবং ১৯৯৫ সালে নবম ও ১৯৯৬ সালে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি নিয়ে “সতীরজান রেজিয়া জুনিয়র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র “সতীরজান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় হিসেবে নাম করণ করেন। আর সে থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বিদ্যালয়টি “সতীরজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” হিসেবে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালিত হয়ে আসলেও বিদ্যালয়ের নামে আসা এমপিও (শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতার মাসিক অর্ডার) আসছে “সতীরজান রেজিয়া জুনিয়র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” হিসেবে যা কি না সতীরজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরতরা উত্তোলন করে আসছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই। এনিয়ে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা রেজিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আমার নামের আসা এমপিও কি বলে সতীরজান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভোগ করছে তা আমার জিজ্ঞাসা। আমি শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারছি না কি কারণে বিদ্যালয়ের নাম করণ থেকে রেজিয়া নামটি কর্তন করা হয়। আমরা সতীরজান রেজিয়া জুনিয়র বালিকা উচ্চবিদ্যালয় নাম সম্বলিত সরকারী বেতন-ভাতা (এমপিও) ভোগ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠাতা রেজিয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশসানের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে হয়তো ন্যয় বিচার পাবেন।