নাবিল সামাদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ থেকে বেরিয়ে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু দূরত্ব পেলেন না। সীমানার কাছে সহজেই ক্যাচ নিলেন শাহানুর রহমান। সমাপ্তি ঘটল সাদমানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের, ভাঙল রেকর্ড গড়া জুটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে সিলেটের বিপক্ষে সাদমান ও নাঈম ইসলামের জোড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে রান-পাহাড়ে চড়েছে ঢাকা মেট্রো। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম স্তরের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৬০১ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে মেট্রো। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে ২৫০ রান করেছেন সাদমান। নাঈম খেলেছেন ২২১ রানের ইনিংস। দুজনেরই এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে সাদমান, নাঈম গড়েছেন ৪৩৪ রানের জুটি। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে তৃতীয় উইকেটে তিনশ রানের জুটিও হয়নি কোনো। ২০১২ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচেই ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে চট্টগ্রামের হয়ে তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক গড়েন ২৭৬ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটে আড়াইশ ছোঁয়া জুটি আছে আর চারটি। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির তালিকায় দুই নম্বরে বসেছেন সাদমান, নাঈম। চারশ ছোঁয়া চতুর্থ জুটি এটি। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ৪৯৪ রান যোগ করেন মার্শাল আইয়ুব, মেহরাব হোসেন জুনিয়র। ম্যাচের প্রথম দিন অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২২৭ রান করেন সাদমান ও নাঈম। শুক্রবার তারা যোগ করেন আরও ২০৭ রান। ঠিক দশ ঘণ্টা ব্যাটিং করে ৪৩৭ বলে ২৮ চার ও ১ ছক্কা মারেন সাদমান। চলতি বছর বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে করা ২৪৬ রান টপকেই আউট হন সাদমান। নাঈমও নিজের আগের সর্বোচ্চ ২১৬ রান ছাড়িয়ে বেশি দূর যেতে পারেননি। ২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচে রংপুরের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ওই ইনিংস। প্রায় ছয় বছর পর সেটি টপকে ২৭৮ বলের ইনিংসে মারেন ২৩ চার ও ৫ ছক্কা।