প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেশি বেশি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্য বাজারে না এনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যারা জনগণের পকেট কাটে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আজ শুক্রবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া চক্রের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালপত্র থাকা সত্ত্বেও বাজারে না এনে অনেকে জনগণের পকেট কাঁটার চেষ্টা করে, এদের খুঁজে বের করতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, তরিতরকারি ও চালসহ প্রতিটি জিনিসের উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে কীসের অভাব হবে? রেখে দেবে, কিন্তু বাজারে আনবে না। বাজারে না এনে দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, এটাই তারা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন এতটুকুও কমেনি...সেটি আলু, চাল, পেঁয়াজ বলুন আমরা সবকিছুর উৎপাদন বাড়িয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না, আমরা ঠিকই ক্ষমতায় এসেছি। একটানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতা রয়েছি৷ তার আগে পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন অবরোধ দিয়েছে। এর আগেও অবরোধ দিয়েছিল। অবরোধ দিয়ে খালেদা জিয়া তার অফিসে বসে থাকত। ৬০ থেকে ৬৫ জন নিয়ে তারা অবরুদ্ধ হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। মানুষ কিন্তু সেই অবরোধ মানেনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম যৌথভাবে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।