জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এ- হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি দল। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত পৌনে ৭টার দিকে নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজশাহীর আদালতে চালান দেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পূর্বে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাড়িতে তল্লাশীকালে জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক বই ও কাগজপত্র পায় পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়েরকৃত একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র আরো বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করছে এমন একটি খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।
এদিকে, রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতালও রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।