রাজশাহীর বাগমারায় বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকা উপজেলা হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হলরুমে অনুষ্ঠানের শুরতে অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলায় ৩৪৬টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি থাকলেও অনুষ্ঠানে সমবায়ী সভ্যদের উপস্থিতি ছিল কম। প্রথমেই বিতর্কিত একজন ব্যক্তি স্থানীয় সাংসদ এনামুল হককে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করতে যান।
এতে স্থানীয় সাংসদ বিব্রতবোধ করেন। এমন কী তিনি তার হাতে ফুলের তোড়া গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানে দর্শকদের দ্বিতীয় সারিতে বসে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারের নির্দেশে, বাগমারা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন।
জাতীয় সমবায় দিবসে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের এম. পি এনামুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমবায়ের নামে কড়া সুদ ব্যবসার কঠোর সমালোচনা করেন। সমবায়ের নামে ভূঁইফোড় সুদকারবারীদের লাগাম টানতে সহকারী কমিশনারকে নির্দেশ দেন। সর্বশেষে উপজেলার তিনটি সমবায় সমিতির কর্মকর্তাদের হাতে শ্রেষ্ট সমিতির পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বাগমারা উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বাবু কৃষি সমবায় সমিতিকে গুরত্ব না দেয়ায় অনুষ্ঠান স্থলে কড়া প্রতিবাদ জানান।
শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি নির্বাচনে, স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বাবু মুঠোফোনে বলেন, সেখানো কোন মানদন্ডের তোয়াক্কা করা হয়নি। এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।বাগমারা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল মান্নান আকন্দ তড়িঘড়ি হলরুমে ত্যাগ করেন বলে সূত্র জানায়।
আততিজারা সমবায় সমিতি লিমিটেড এর কর্মকর্তা দুরল হুদার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিলকালাই সমবায় সমিতির সভাপতি আক্কাস আলী, স্বপ্নচাষ সমবায় সমিতির সভাপতি এবং বাগমারা উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বাবু, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল মান্নান আকন্দ প্রমুখ। স্থানীয় সাংসদের বিব্রতের বিষয়ে বাগমারা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল মান্নান আকন্দ বলেন, কেন এমপি মহোদয় বিব্রত হলেন তা বুঝতে পারছি না। কেন না সমবায়ীদের নিয়েই আমাদের কারবার।
শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, একবার কোন সমিতিকে পুরস্কৃত করা হলে সেটিকে তিন বছর আর পুরস্কার দেয়া হয় না। নিয়ম মেনেই শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি নির্বাচন করা হয়েছে।