বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মরিচের জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। যদিও মরিচের দাম অন্যান্য ফসলের চাইতে বেশি হলেও চাষীরা আবাদ করেছেন কম পরিমান জমিতে। মরিচ চাষে ঝুঁকি বেশি থাকায় কৃষকদের মরিচ চাষের কদর কমছে। স্হানীয় সুএে জানা গেছে, বগুড়ার মরিচ সারাদেশে সমাদৃত। সৌখিন রাধুঁনিদের কাছে বগুড়ার মরিচ পছন্দনীয় হলেও উৎপাদন দিন দিন কমছে। বগুড়ার মধ্যে সব থেকে বেশি মরিচ চাষ হয়ে থাকে সারিয়াকান্দি উপজেলা এলাকায়। উপজেলার চরাঞ্চলের চাষীরা বিগত দিনে মরিচ চাষে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। গত দুই বছর আগেও এই উপজেলায় মরিচ চাষ হয়েছিলো প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে কমে গত বছর চাষ হয়েছিলো প্রায় ৩ হাজার ৯শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এ বছর আরও কমে চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে। কাজলা ইউনিয়নের বেনীপুর চরের রোকন উদ্দিন বলেন, মরিচ চাষে ঝুঁকি বেশি। শুরুতে মরিচ গাছে পাতা পচারী রোগ লেগে যায়। আবার ফসলের মাঝ পথে এসে পাতা তামাটে হওয়া সহ অকালে পাতা ঝড়ে রোগ ধরে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম রোগ-বালাই মরিচ গাছে লেগেই থাকে। যদিও ফসল টি উৎপাদনে খরচ বেশি, তারপরেও হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম তো আছেই। মোট কথা মরিচ চাষে ঝুঁকি বেশি থাকায় আমরা মরিচ চাষ কমে দিয়েছি। তবে মরিচের পরিবর্তে চরের জমিতে ভুট্টা ও মিষ্টি কুমড়া চাষ বেশি করছি আমরা। কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপচা চরের আয়েন উদ্দিন বলেন, লাল শুকনা মরিচ বাজারে এখনো প্রায় ১৪ হাজার টাকা মণ। কাঁচামরিচের দাম মণ প্রতি ৪ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে। মরিচ ফসলের দাম ভালো থাকলেও আমরা চাষ কমে দিয়েছি রোগ বালাই অতিরিক্ত পরিশ্রম হওয়ার কারণে। উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম জানান, সারিয়াকান্দিতে মরিচ চাষ অনেক কমেছে এবার লক্ষ্য মাএা ছিলো ৩ হাজার ৭ হেক্টর জমি। সেখানে অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ হয়েছে ১১শ ৩০ হেক্টর জমিতে। পরিবর্তে ভুট্টা সহ অন্যান্য লাভ জনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন চাষীরা।