গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম (৪০) খুনের ঘটনায় ২৩ জন নামীয় ও ২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ এজাহার নামীয় ২ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার বিকেলে নিহত জাহিদুল ইসলামের বোন আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যার্টাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে তদন্তের সার্থে তাদের নাম পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা মিলন কুমার চ্যার্টাজী। সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চিরুনী অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার দিবাগত রাত ১১.৩০ ঘটিকার সময় জাহিদুল ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে বাড়ী ফিরছিলেন। ফেরার পথে পথিমধ্যে সাখা মারা ব্রিজ এলাকায় তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের দুই হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। আর লাঠি দিয়ে আহত করে কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ২জনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এর মধ্যে জাহিদুলের অবস্থার অবনতি ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত আনুমানিক ২.৫০ মিনিটে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে। গত সোমবার বাদ আছর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবুসহ জেলা-উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী। পরে জাহিদুল হত্যাকারীদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহর ও ছাইতানতলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার জাহিদুল ইসলামের হত্যাকারী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের হোতাদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবী জানিয়ে ছাইতানতলা বাজারে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ এর অঙ্গসংগঠন। উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান লিঠুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুতিউর রহমান বাদশা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজু। অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবুসহ জেলা-উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অবিলম্বে জাহিদুল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।