বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: খায়রুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলাটির কোনো শুনানি ছাড়াই নিবন্ধন বাতিলের একতরফা রায় দিয়ে মূলত: আদালত সরকারের ইচ্ছে বাস্তবায়ন করেছে। ন্যায়ভ্রষ্ট এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। গণতন্ত্রকামী এবং শান্তিকামী জনগণ বিস্মিত এবং হতবাক। জামায়াতের মতো মানবতাবাদী এবং গণতন্ত্রকামী দলের নিবন্ধন বাতিল করে সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জামায়াতকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার সরকারি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। নিবন্ধন বাতিলে আমরা মোটেই বিচলিত এবং চিন্তিত নই। বরং আল্লাহর সাহায্য এবং জনগণের ভালবাসা নিয়ে জামায়াত সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার সকালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভূষির মিলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো: খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাজীরপুকুর এলাকায় গিয়ে নগর সহকারী সেক্রেটারি মো: হোসেন আলীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো: নজরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মো: মহিউদ্দিন, মো: সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, মো: আবু তাকি, মো: আশরাফ আলী কাজল, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ বিপুলসংখ্যক জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী এবং শান্তিকামী জনগণ।
তিনি আরো বলেন, সীমাহীন জুলুম নির্যাতন দুর্ণীতি দু:শাসন এবং লুটপাটের কারণে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আতঙ্কিত সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে গণদাবী উপেক্ষা করে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে এই তফশিল ঘোষণা করে। ক্ষুব্ধ জনতা একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ তফশিল বাতিল এবং কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।