২০০১ সাল থেকে বিগত ২৩ বছরে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবের কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামিলীগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিএনপির এই সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবের কারণে ইতোমধ্যে দলের ৪ জন নেতা কর্মী হত্যার স্বীকার হয়। লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চান দলের নেতাকর্মীরা। তাই সংগঠন গোছাতে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে এমনটাই প্রত্যাশা দলীয় নেতাকর্মীদের। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ আসনে অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানকে মনোনয়ন দেয়ার দাবীতে লালমনিরহাট-৩ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ পরিবারের সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকগণ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ নেতারা বলেন, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাট সদর-৩ আসনটি বরাবরই ভোটের মাঠ দখলে ছিল বিএনপির। বিএনপির সাংগঠনিক প্রভাবের কাছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে কখনোই পেরে উঠেনি। কারণ হিসেবে নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দির্ঘদিন আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা থেকেছে অবহেলিত। এ কারণে ধীরে ধীরে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ গুলো চিহ্নিত করে দলের নেতাকর্মীরা এবার সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থী অ্যাড. মতিয়ার রহমানকে লালমনিরহাট-৩ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরও বলেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডঃ আশরাফ হোসেন বাদল। এ সময় জেলা শাখার সহ-সভাপতি, অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির, সাঃ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ, সম্পাদক আরিফ ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।