খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে পুলিশি চোখ ফাঁকি দিয়ে ভূমিদস্যু পলায়নে করেছে। উপজেলার বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনিতে জনৈক অজয় সাধু ও সুজিত সাধুর বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকার মূল্যের হাট পেরিফেরী সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে রবিবার সরেজমিনে এসে পাইকগাছা-খুলনা মেইন সড়কের জায়গার উপর টিউবয়েল বসানোর সময় পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। সূত্রমতে জানাগেছে, উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক মোকাম রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু শত বছর পূবৈ বিনোদগঞ্জ প্রতিষ্ঠিতি করেন। কপিলমুনি স্থাপনাগুলি প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলছে। বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আগের তুলনায় অনেক সমারহ। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটি মহল অবৈধ দখল ত্বারানিত করতে গিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যে ধ্বংস করছে। দোকান সংস্কারের নামে হাটপেরিফেরী সরকারি সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। সম্প্রতি কপিলমুনি মেইন সড়ক সংলগ্ন সালতা ফিসের লাগোয়া সরকারি ১.৪৭ শতক জমি অবৈধ দখল করে সেখানে বহুতল নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে জনৈক অজয় ও সুজিত সাধু। দোকান সংস্কারের নামে মেইন সড়কের ফুটপাতের জায়গার তলদেশ খুড়ে কাজ শুরুর পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েব মো. কামাল হোসেন সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় আবারো সেখানে গভীর গর্ত করে কংক্রিটের আরসিসি পিলার দিয়ে বহু ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। জনবহুল রাস্তার পাশে কখন পর্দা আবার ও ব্যারিকেড দিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে প্রাকাশ্য সরকারি সম্পত্তি দখল প্রক্রিয়া এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। স্থানীয়দের, উক্ত সম্পত্তির মাত্র ১ শতক সম্পত্তি জৈনক জীবন দে প্রাপ্য সম্পত্তি। সম্প্রতি তিনি ১ শতক সম্পত্তি অজয়গংদের নিকট বিক্রয় করেছেন। কিন্তু সেখানে অজয়গং সরকারি পেরিফেরী ১.৪৭ শতক সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। যাহা নাছিরপুর মৌজার ৪১৭ দাগের মধ্যে অন্তভূক্ত। প্রথমত এ সম্পত্তি ছিল জেলা বোর্ডের অন্তভূক্ত। ১৯৬২ পরবর্তী সময়ে হাট পেরিফেরীর আওয়াতায় চলে আসে। কপিলমুনি বাজার কেন্দ্রিক নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা ১২ টায় দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম কপিলমুনি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ধান্যচত্বরের অবৈধ দখলদার ফল ব্যবসায়ী শেখ শফিউর রহমান, রাকেশ মন্ডল, মজিদ ও ভুমিদস্যু অজয় সাধুকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম। তবে অজয় সাধুকে সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলের অপরাধে স্পষ্ট থেকে আটক পরবর্তী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে আর এক ভূমিদস্যু সুজিত সাধু বুঝতে পেরে আগেই সরে যায়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে প্রশাসন তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার মো. কামাল হোসেন বলেন, মূলত অজয়গং জীবনদের নিকট থেকে ১ শতক জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু সে অতিরিক্ত আরো ১.৪৭ শতক জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছে। আমি নিজে কয়েকবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। উপরোক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নাজির আব্দুল বারি, সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ, অফিস সহকারী জিহাদুল্লাহ, লিটু ও নাজমুলসহ কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ও বিজিপি সদস্যদের টহল টিম।