একদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে কাঁদা আর পানিতে একাকার হয়ে গেছে সৈয়দপুর শহরের রাস্তাগুলো। পায়ে হেঁটে চলা তো দুরের কথা রিক্সা, অটোরিক্সায় চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। কাঁদা পানিতে একাকার রাস্তা পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। ৭ ডিসেম্বর সৈয়দপুরে সকাল থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ওই বৃষ্টিতে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডাঃ সামসুল হক সড়ক, শেরে বাংলা সড়ক,বিচালী হাটি সড়ক, চাউল মার্কেট, কলা হাটি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কগুলোতে কাঁদাপানি একাকার হয়ে যায়। রিক্সা বা ইজিবাইকের পিছনে থাকলে কাঁদা ছিটকে পড়ে শরীর ও কাপড়ে। খানাখন্দ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে সড়ক গুলোতে বিরাজ করে এ অবস্থা।তামান্না সিনেমা হলের পরিচালক মাহবুব আলম ঝন্টু বলেন, কাঁদার কারণে শহরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। একটু হাঁটলে কাপড় ও শরীর নষ্ট হচ্ছে। কোন গাড়ীর পিছনে থাকলে পড়নের কাপড়ে কাঁদা ছিটকে ছিটকে পড়ছে। বাজার করতে আসা অনিক এ মন্ডল জানান, তিনি সৈয়দপুর প্রেসক্লাব হয়ে সৈয়দপুর পৌর আধুনিক সবজী বাজারে যান। সেখানে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখেন তার পড়নের কাপড় কাঁদায় ভরে গেছে। তার অভিযোগ রাস্তাগুলো ঠিক করা হলে এ অবস্থা হতো না। চিত্র সাংবাদিক সোহেল বলেন, বিশেষ করে কাঁদাপানি একাকার হয়ে গেছে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক ও শহীদ ডাঃ সামসুল হক সড়ক। ওই দুই সড়কে পা ফেলার কোন স্থান নেই। কাঁদা আর পানি মিশে যেন দই হয়ে গেছে। ওই কাঁদা পানির ওপর চাপ পড়লে তা ছিটকে গিয়ে অন্য কারো শরীরে পড়ছে। এতে কারো কারো সাথে লেগে যায় ঝগড়া। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সরকার কবির উদ্দীন ইউনুস জানান, শহরের রাস্তাগুলোর দিকে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন। কারণ তারাও কিন্তু এ রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আজ বারো অবস্থা বিরাজ করছে শহরে। যার ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে সকলকে।