দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনের মোট ৪ শত ৬৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩ শত ৩৯টিই ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত হাজার বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভোটের পরিবেশ নির্বিঘœ রাখতে ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ৬ জন জুুিডশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুল আলম জানান, জেলার ৬ উপজেলায় ৬টি এবং অতিরিক্ত ১ টি সেনাবাহিনীর টিম, ৯ প্লাটুন বিজিবি, ৬৪ জন র্যাব সদস্য ১হাজার ৩২৪ জন পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং ৫ হাজার ৬শত ২৮ জন আনসার বাহিনীর সদস্য মাঠ পর্যায়ে আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসি ফেরদৌস জানান, শ্রীনগর এবং সিরাজিদখান উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের ২৮টি ইউনয়নের ১৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩১টি ঝুকিপূর্ণ ৩৯টি সাধারণ, টঙ্গীবাড়ি এবং লৌহজং উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের ২৩টি ইউনিয়নের ৭৩টি ঝুকিপূর্ণ ও ৫৭টি সাধারণ মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন এর ২টি পৌরসভা, ১৭টি ইউনিয়নের সর্বোচ্চ ১৩৫টি ঝুকিপূর্ণ এবং ৩৪ টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।