টানা ১০দিন ধরে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও প্রচন্ড ঠান্ডায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জনজিবন কাহিল হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডার যুবুথুবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা ১০দিন ধরে সঠিকভাবে সুর্য্যরে দেখা মিলছে না। সারাক্ষণ মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত মঙ্গলবার ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলে জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। হিম শীতল আবহাওয়া ও কনকনে শীতে কাতর হয়ে আছে মানুষসহ গবাদী পশুগুলো। বাধ্য হয়ে গরম কাপড় ও পাটের বস্তা দিয়ে গবাদী পশুদের গায়ে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা একটু উষ্ণতা নিতে খড়কুটো জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। প্রচন্ড ঠান্ডা ও শীতের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়ে গেছে। রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলে শীত দীর্ঘদিন হয়ে গেল। কঠিন ঠান্ডায় মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। অসুস্থ হচ্ছে ছোট ছোট ছেলে -মেয়ে এবং বয়স্করা। ইতোমধ্যে হাসপাতালে এজমা রোগী এবং ডায়রিয়া সহ ১২/১৩জন ভর্তি রয়েছে। অপর দিকে গত এক সপ্তাহ ধরে সুর্য্যরে দেখা না মেলায় হলুদ ও সাদা বর্ণ ধারন করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো বীজতলা। কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপন করতে পারছেন না ধানের চারা। অন্যদিকে হিমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের। রাজারহাট সদর ইউনিয়নের দুধখাওয়া গ্রামের কৃষক মোহম্মদ আলী মন্ডল এটম বলেন, ১০দিন ধরে সূর্য্যরে কোন খবর নাই। ঠান্ডা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা করেছি, হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কীটনাশক দেয়া লাগতে পারে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।