মোহামেদ সালাহর চোট নিয়ে মিশরের কোচ রুই ভিতোরিয়া আশায় ছিলেন যে, খুব খারাপ কিছু হয়তো নয়। তার ধারণা একেবারে যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তা কিন্তু নয়। তবে যতটুকু হয়েছে তাই দলের জন্য অনেক বড় দুর্ভাবনার কারণ। গ্রুপ পর্বের শেষ ও মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেপ ভার্দের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তারকা এই স্ট্রাইকার। আর মিশর যদি আফ্রিকান নেশন্স কাপের নকআউট পর্বে উঠতে পারে, তাহলে শেষ ষোলোর ম্যাচেও নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবেন না সালাহ। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে এরপর তার মাঠে ফেরার ভালো সম্ভাবনা আছে, যা তার ক্লাব লিভারপুলের জন্য বেশ ভালো খবর। দারুণ ছন্দে থেকে জাতীয় দলে যোগ দেন সালাহ। এবারের প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৪টি গোল করেছেন ৩১ বছর এই ফরোয়ার্ড। মিশরের হয়ে চলতি নেশন্স কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেও জালের দেখা পান তিনি। মোজাম্বিকের বিপক্ষে হারতে বসা লড়াইয়ে শেষ মুহুর্তে সালাহর পেনাল্টি গোলেই ২-২ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিশর। এরপর বৃহস্পতিবার ঘানার বিপক্ষেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-২ ড্র করে মিশর। ওই ম্যাচেই ধাক্কাটা খায় তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দৌড়াতে গিয়ে হঠাৎ বসে পড়েন সালাহ। পরে তাকে তুলে নেন কোচ। অস্বস্তি নিয়ে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। প্রথম দুই ম্যাচেই ড্রয়ের কারণে গ্রুপের শেষ ম্যাচ মিশরের জন্য এখন বাঁচা-মরার লড়াই। টুর্নামেন্টের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের অন্যান্যের ওপর নির্ভর না করে পরের ধাপে উঠতে হলে কেপ ভার্দের বিপক্ষে জিততেই হবে। প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে উঠেছে কেপ ভার্দে। ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মিশর। পরের দুটি স্থানে থাকা ঘানা ও মোজাম্বিকের পয়েন্ট সমান ১। তাই সালাহ ঠিকঠাক সেরে উঠলে এবং মিশর যদি গ্রুপ পর্ব ও পরে শেষ ষোলোর ধাপও পার হতে পারে, তাহলে আগামী ২ বা ৩ ফেব্রুয়ারির কোয়ার্টার-ফাইনালে মাঠে নামতে পারেন তিনি। এদিকে লিভারপুলের এখন প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ততা তুলনামূলক কম। তাছাড়া সালাহর নেশন্স কাপের ব্যস্ততা ধরেই পরিকল্পনা এঁটেছেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লাব। তাই তার চোট তেমন গুরুতর না হলেই তা স্বস্তির লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটির জন্য।