গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে খবর পেয়ে দুই বছর যাবত শিকল বন্দি হয়ে জীবন যাপন করা জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত সালতা গ্রামের চার সন্তানের জননী নাজমা বেগমের বাড়িতে ছুঁটে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খান। মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও বলেন, শিকল বন্দি গৃহবধুর অবস্থা পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই গৃহবধুর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে সরকারি কিংবা যেকোন উপায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নাজমাকে সুচিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলান নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খানের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন নাজমা বেগমের অসহায় পরিবারসহ এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, তিন বছর পূর্বে স্বামী রহিম হাওলাদারের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মানসিকরোগে আক্রান্ত হয়ে পরেন চার সন্তানের জননী গৃহবধু নাজমা বেগম (৩৫)। অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় গত দুইবছর যাবত নাজমার পিতা উমার আলী হাওলাদার তার মেয়েকে শিকল বন্দি করে রেখেছেন। বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ উমার আলীর দিনমজুরীর টাকায় নাজমাসহ তার চার মেয়েকে নিয়ে অর্ধাহারে ও অনাহারে কাটছে সাত সদস্যর পরিবার।