ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম এবং দাড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করায় চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন মজুমদারের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুরানবাজার লোহারপুল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চাঁদপুর পুরানবাজারের জনসাধারণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে মানবতার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে কলেজ ক্যাম্পসের সামনে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপস্থিতির কারণে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে পারেননি। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসিসহ সঙ্গীয় ফোর্স সেখানে উপস্থিত হয়। পরে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং পুরাণবাজারের সাধারণ জনগণ লোহারপোল চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সজিব, মো. শাহাদাত ও জুয়েল রায়হান তাদের বক্তব্য বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া জনগোষ্ঠী আমাদের মতই মানুষ। তাদের প্রতি ইসলাম এবং বাংলাদেশে মানুষ সব সময় সহনশীল। কিন্তু সপ্তম শ্রেণীর বইতে ট্রান্সজেন্ডার এর সমকামিতাকে গুলিয়ে বৈধতা একটি গল্প ছাপানো হয়েছে। সে বিষয়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। অথচ আমাদের পুরনবাজার কলেজের বিতর্কিত অধ্যক্ষ রাজকুমার মজুমদার সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ইসলাম এবং দাড়ি টুপিকে কটূক্তি করে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাড়ি-টুপির কারণে একজন শিক্ষককে জঙ্গী বলে আখ্যায়িত করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, পুরানবাজার কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার এর আগেও ইসলাম এবং আলেম-ওলামাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হন। আমরা অবিলম্বে এই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন। উল্লেখ্য : জাতীয় শিক্ষাক্রমের এক পাঠ্যবইয়ে থাকা ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক অধ্যায় নিয়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার সৃষ্টি হয়। সে বিষয়ে আগ্রাসি মন্তব্য করেন পুরানবাজার কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। তিনি লিখেন- (হুবহু তুলে ধরা হলো) 'এই জঙ্গিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক করেছে কে? ও চেহারায়ও জঙ্গি মনে মনে প্রানেও জ,ঙ্গি। ও যাদেরকে পড়াবে তারাও জঙ্গি হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিদ্বেষী পাগলা নুরার প্রোডাক্ট কোটা আন্দোলনের সা,গু যখন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতার সুযোগ পেয়ে এখন জ,ঙ্গি তৈরি করছে। এই বস্তুখানা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছিল। ওইটা আর একটা জঙ্গি তৈরির কারখানা। এই দুইটা বিশ্ববিদ্যালয় এখন বন্ধ করে দেয়া উচিত।' তিনি তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন। যার জন্য ক্ষুব্ধ হয় এলাকার ছাত্র-যুবকসহ তৌহীদ জনতা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায় রয়েছে। তবে কলেজ সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।