নোয়াখালীর সেনবাগে মাটির ট্রাক্টর পরিবহনের ঘটনার জেরে সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে কাবিলপুরের সর্বস্তরের জনগণ। শুক্রবার বিকেলে ছমির মুন্সিরহাট -কাবিলপুর-সেনবাগ সড়কের শরিয়ত উল্লার দোকান নামক স্থানে ওই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। কাবিলপুর ইউনাইটেড ইয়াং সোসাইটি ও কাবিলপুর একতা সমাজ সংঘের যৌথ উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহতের পিতা সাজু মিয়া,বড়ভাই দিদারুল আলম, কাবিলপুর ইউনাইটেড ইয়াং সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আলম, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, একত সমাজ সংঘের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উল হক শাকিল প্রমুখ। জানাগেছে, উপজেলার কাবিলপুর ইউপির পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের তফাদার বাড়ির জহিরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হকের জমির ওপর দিয়ে একই গ্রামের আবদুর হাকিম মাষ্টার বাড়ির রবিউল আলম ছোটন মাটি ভর্তি ট্রাক্টর পরিবহন করছিলো। এই নিয়ে জাহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হক ছোটনকে ট্রাক্টর দিয়ে দিয়ে তাদের জমিনে ওপর দিয়ে মাটিন পরিবহনে বাঁধা দেয়। এই নিয়ে বুধবার দিবাগত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে দুইজনের কাঁথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে জহিরুল জাহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হক ছোটনকে চুরিকাঘাত করলে তার মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত কেটে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা। তবে এঘটনার সঙ্গে জহিরুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম জড়িত নয় বলে জানান। যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেন।