বিয়ের পর বাসর রাতেই স্বামী জানতে পারলেন তার নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। পরে সেই রাতেই স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিয়ে ও বিচ্ছেদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মো. সেলিম। এদিকে ওই নববধূ ধর্ষণের কারণে অন্তঃস্বত্তা হয়েছে বলে দাবী পরিবারের। তবে এই বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করেনি তারা। বিয়ের ঘটনা গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিয়ে হয় চাঁদপুর সদর এলাকার বাসিন্দা মমিন ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্মনাম স্মৃতির। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গত দু’দিন আগে। এদিকে ওই নববধূ গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন সময়ে তার প্রতিবেশি লিটন, ইলিয়াস, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন। যে কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বর মমিনের মা গণমাধ্যমকে জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। ছেলের বিয়ের আগে এমন কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না। ২ ফেব্রুয়ারি বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা নিশ্চিত হন। ওই রাতেই বৌকে আমার ছেলে তালাক দেয়। পর দিন ৩ ফেব্রুয়ারি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করেন এবং সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট পান ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের পরিবার এসে তাকে ওই দিনই নিয়ে যায়। ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, মেয়ের বাবা একজন দিনমজুর। তার চার মেয়ের মধ্যে এই মেয়ে তৃতীয়। ওই মেয়ের পুরানবাজারে বিয়ে হয়েছে জানতে পেরেছি। এরপর মেয়ের বাবা আমাকে গত কয়েক দিন আগে বাজারে যাওয়ার পথে জানিয়েছেন, তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তখন তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম বলেন। এসব বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে অবগত করতে এবং আইনিব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিই। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি) বলেন, থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।