নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এ পৌরসভায় প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। ঘনবসতিপূর্ণ এ শহরে বহু ভাষাভাষির লোক বাস করে। তবুও শান্তির শহর বলা হয় সৈয়দপুর। পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, পৌর এলাকার মধ্যে রয়েছে ২২ টি অবাঙ্গালী বা উর্দুভাষী ক্যাম্প। ওই ক্যাম্পগুলোর অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। বর্ষায় প্রবেশ করা যেত না ক্যাম্পে। কাঁদা পানি একাকার ছিল। এখন ক্যাম্পের অবকাঠামোসহ সকল প্রকার উন্নয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, একসময় এ পৌরসভা শাসন করেছে একজন অবাঙ্গালী পৌর চেয়ারম্যান। সে সময়েও ক্যাম্পের উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি বা করা হয়নি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করা র। মুলত তাদের সময়কাল থেকে সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। সে সময় এ শহরের মানুষজন কি সচেতন ছিলেন না। নাকি মেয়রের দাপটের কারণে ভয়ে টুশব্দ করতে পারেননি। আজ ক্রমান্বয়ে পৌর এলাকার রাস্তাগুলো বেহাল অবস্থা। এ রাস্তাগুলোর মধ্যে কয়েকটি রাস্তা একদম চলাচলে অনুপযোগি। যা আমি উপলব্ধি করেছি। কিন্তু আমি আপ্রান চেষ্ঠা করছি। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার কাজ করতে পারি। আমি মেয়র নির্বাচিত হয়ে শহরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি। এ শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখেছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করেছি। জন্ম নিবন্ধন,সনদ,মৃত্য সনদ, নকশা সহজতর করেছি। পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত করেছি। এখন বেতনের জন্য তাদের আন্দোলন করতে হয় না। শহরের প্রায় প্রত্যেক মহল্লার রাস্তার কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। সে সকল রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। প্রধান রাস্তা তামান্না হল থেকে ওয়াপদা। এ রাস্তাটির কাজ করতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু জনগনের সুবিধার্থে রাস্তাটি বার বার সংস্কার করা হয়ে থাকে। তবে কিছুদিন পর আবার বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। এর মুল কারণ হল ওই রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল। তারপরও আমি যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি দ্রুত সময়ে রাস্তাটি সংস্কারের। আগামী দুই মাসের মধ্যে আল্লাহর রহমতে রাস্তার কাজ শুরু হবে। কিন্তু দুঃখ লাগে এরইমধ্যে কিছুলোক যারা কোন কিছু না বুঝেই অযথা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে চলছে। তারা কি একটু বার ভাবেন পৌরসভাকে নিয়ে। কিভাবে পৌরসভার আয় হয়। এতোগুলো কর্মচারী ও কর্মকর্তার বেতন ভাতা কেমন করে দেয়া হয়। তিনি বলেন পৌরসভার মুল আয় কর ও ট্যাক্স থেকে। ওই কর ও ট্যাক্স আদায় করতে গিয়ে ব্যবসায়ির সাথে পৌরসভার প্রায় সময় দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। জনগন যদি ঠিকভাবে কর ও ট্যাক্স পরিশোধ না করে তাহলে টাকা আসবে কোথা থেকে। কেউ ভাল পরামর্শ দিতে আসেন না। তবে ষড়যন্ত্র করতে অনেকেই বসে নেই। তারপরও আমি মেয়র হয়ে বসে নেই। কেমন করে পৌরবাসির সেবা করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করছি। আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। সময় মত সকল রাস্তার কাজ শেষ হবে। আনন্দে রাস্তায় চলাচল করতে পারবেন। ধৈর্য্য ধরুন একটু অপেক্ষা করুন।