নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে বেসরকারি সাউথ বাংলা হসপিটালে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত নিশির বাবা আবদুল আউয়াল বাদি হয়ে রোববার ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ডা. আক্তার হোসেন অভি তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ, মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন, ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয় ও হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মহিন উদ্দিনকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেন। রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নং আমলী আদলতের বিচারক মোঃ জাকির হোসাইন এ নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার সিনিয়র আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবদুল আউয়াল তার একমাত্র মেয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা উম্মে সালমা প্রকাশ নিশির গর্ভের সন্তান বাবুর ২৪১ হার্টবিট নিয়ে চিকিৎসার জন্য সাউথ বাংলা হসপিটালে আসেন। এ সময় হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, ডা:আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা: ফৌজিয়া ফরিদ রোগীর কোনো রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই সিজারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মুহূর্তেই মা ও সন্তানের মৃত্যু ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চিকিৎসক ডা: আক্তার হোসেন অভি তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ সহ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় প্রেরণ করে। পরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়। মামলার বাদী আবদুল আউয়াল, জানান, গত ১৬ অক্টোবর আমার অনুমতি ছাড়া অপারেশন করে। এতে করে আমার মেয়ে ও নবজাতককে হত্যা করা হয়। আমি প্রথমে মৌখিক ও পরে ২৩ অক্টোবর সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সব শেষ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। হতভাগা বাবা হিসেবে আমার সন্তান ও নাতি হত্যার বিচার চাই। পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো।