রাজশাহীর আঞ্চলিক তথ্য অফিসে তথ্য অধিদফতরের অধীন সাতটি আঞ্চলিক তথ্য অফিসের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য অফিসার বলেছেন, ‘আঞ্চলিক তথ্য অফিসগুলোর নিজ নিজ ইনোভেশন বাস্তবায়িত হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। সহজে সেবা পেলে সেবাগ্রহীতার প্রত্যাশা পূরণ হবে। আর এর ফলে পিআইডি’র কাজের প্রতি সেবাগ্রহীতাদের আস্থা বাড়বে। একইসঙ্গে আমাদের কাজে আরও গতিশীলতা আসবে।’ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে তথ্য অধিদফতরের আয়োজনে এবং রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সহযোগিতায় সেবাগ্রহীতার সেবাসহজীকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পিআইডিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে উল্লেখ করে শাহেনুর মিয়া বলেন, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি সেজন্য আমাদেরকে ইনোভেটিভ হতে হবে। এজন্য সেবাগ্রহীতার সেবাসহজীকরণে নিত্য উদ্ভাবনী ধারণা বের করে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি। রাজশাহী পিআইডি’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাতটি আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসারগণ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে নিজ নিজ অফিসের উদ্ভাবনী উদ্যোগের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং উক্ত ধারণার বিপরীতে ওই সম্পর্কিত কাজগুলোর বর্তমান চিত্র বিভিন্ন উদাহরণে তুলে ধরেন। ইনোভেশন শোকেসিং-এ রাজশাহী, চট্রগ্রাম, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত আঞ্চলিক তথ্য অফিসসমূহের কর্মকর্তারা পৃথক পৃথক স্টলে নিজ নিজ অফিসের উদ্ভাবনী ধারণা তুলে ধরেন। এ সময় প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়ার নেতৃত্বে তথ্য অধিদফতরের একটি টিম আঞ্চলিক তথ্য অফিসসমূহের উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো ঘুরে দেখেন এবং তারা অফিসসমূহের উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো সম্পর্কে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেন। এ সময় তথ্য অধিদফতর ঢাকার সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য অধিদফতর হতে আগত কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক তথ্য অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।