যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন মণিরামপুরের যুবক সনজিৎ কর্মকার (৩৩)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নওয়াপাড়া নূরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও অসুস্থ সনজিতের জ্ঞান ফেরে মঙ্গলবার রাতে। সনজিৎ কর্মকার মণিরামপুর উপজেলার বালিধা ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি গ্রামের গোপাল কর্মকারের ছেলে। ঘটনা সম্পর্কে গতকাল বুধবার সকালে সনজিৎ কর্মকার বলেন, সোমবার দুপুরে আইএফআইসি ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখায় নিজ একাউন্ট থেকে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৫শ’ টাকা উত্তোলণ করি। বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য ওই টাকাসহ নূরবাগ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এসময় একটি ইজিবাইক এসে আমার পাশে দাড়ায়। পরে ওই ইজিবাইকের ভেতর থেকে কে বা কারা আমার চোখ-মুখ লক্ষ্য করে কিছু একটা স্প্রে করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চালকসহ দুই যুবক আমাকে তাদের ইজিবাইক উঠিয়ে নিয়ে যশোরের দিকে রওনা হয়। শরীরের শক্তি হারিয়ে যাওয়ায় অকেন চেষ্টা করে ইজিবাইক থেকে নামতে পারিনি। মঙ্গলবার রাতে কিছুটা জ্ঞান ফিরে আসলে দেখি অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছি। ওরা আমার টাকা, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন ও চেক বইটিও নিয়ে গেছে।’ সনজিতের ভাই ইন্দ্রজিৎ কর্মকার বলেন, সোমবার বিকাল থেকে মোবাইল বন্ধ পেয়ে দাদাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ওই রাতে অভয়নগর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে জানতে পারি নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে এক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত স্টেশনে পৌঁছে দাদাকে সনাক্ত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। তখন সে সম্পূর্ণ অচেতন ছিল। তবে দাদার কাছে ব্যাংক থেকে ওঠানো টাকা, স্বর্ণের চেইন, চেক বই, মোবাইল ফোন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ডা. খন্দকার আল মামুন জানান, সনজিৎ নামে এক রোগীর দেহে চেতনানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে। চিকিৎসা চলছে, তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এসএম আকিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।