ব্রেইন স্টোক করা শাহজাহান রাঢ়ী (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে গত ২৫ মার্চ দুপুরে ভর্তি করা হয়েছিলো বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও সেবা পাচ্ছিলেন না তিনি। এনিয়ে উত্তেজিত রোগীর স্বজনদের সাথে ডাক্তারদের বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত রোগীর মেয়ে জামাতাকে না পেয়ে রোগীর স্কুল পড়ুয়া নাতীকে আটক করে বেধম মারধর করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন চিকিৎসকরা। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র জিহাদ ও তার খালু জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ডাঃ তারিকুল ইসলাম। ওই মামলায় কিশোর জিহাদকে রাতভর থানায় রেখে পরেরদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। জিহাদ নগরীর কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। জিহাদের স্বজনদের অভিযোগ, থানায় বসে চিকিৎসক তারিকুল ইসলামের পা ধরে মাফ চাইলেও রেহাই পায়নি কিশোর জিহাদ। অপরদিকে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে জেলার উজিরপুর উপজেলার সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান রাঢ়ীকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম বলেন, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন ও জিহাদ হাওলাদার নামের দুইজনকে আসামি করেছেন বাদী ডাঃ তারিকুল ইসলাম। এসআই আরও জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃত জিহাদকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে মামলায় আসামি করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি হাসপাতালের পরিচালকের সাথে কথা বলতে বলেন। শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় তার এক স্বজন ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ তারিকুল ইসলামকে মারধর করা হয়।