বিয়ের প্রলোভনে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রির ঘটনায় পাচারচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে বরিশাল র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় মানাব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলা দায়েরের পর ভিকটিম ও গ্রেপ্তারকৃতদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সূত্রমতে, এরআগে পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় র্যাব-৮ সদর কোম্পানি এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা চালিয়ে পাচারচক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-পাচারচক্রের মূলহোতা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইমন হোসেন ও তার দুই সহযোগি শরীয়তপুরের পালং থানার চরপাতালীধী গ্রামের আনিছ আলীর মেয়ে তানিয়া আক্তার ও মাদারীপুর সদর থানাধীন পুরান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে জাহানারা বেগম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ ভিকটিম ১৫ বছরের কিশোরী বরিশালের বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদরাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় ১২ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ঘটনায় তদন্তে নেমে থানা পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় পুলিশ র্যাব-৮ বরাবর একটি অভিযানপত্র প্রেরণ করেন। পরে র্যাব সদস্যরা ছায়া তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মানবপাচার চক্রের মূলহোতা ইমন ও তার সহযোগি তানিয়া ও জাহানারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্রে আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হোসেন জানায় তার অপর সহযোগিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও প্ররোচনায় তিনি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ মার্চ বাকেরগঞ্জের ভরপাশা টিঅ্যান্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদরাসার সামনে থেকে জোরপূর্বক মানবপাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেন। পরে তিনি ভিকটিমকে গ্রেপ্তারকৃত তানিয়া ও জাহানারা বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে রমজান মাসে পতিতাবৃত্তি বন্ধ থাকায় ভিকটিমকে নানাভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ ও প্ররোচনা দিয়ে আসছিলো গ্রেপ্তারকৃতরা।