বিয়ের প্রলোভনে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে কথিত (ভুয়া) চিকিৎসক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পর অভিযুক্ত জাকির হোসেন আত্মগোপন করেছেন। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার।
নির্যাতিতা ওই নারী চিকিৎসকের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গৌরনদীর বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা যাওয়ার সময় ডাঃ জাকির হোসেন তাকে প্রায়ই উত্যক্তসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে জাকিরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত তাকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে জাকির অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন অজুহাতে জাকির হোসেন তার কাছ থেকে ধার বাবদ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করা হলে জাকির নানা টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ রাত থেকে জাকির গৌরনদী থেকে আত্মগোপন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকির হোসেন অন্য এক চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে ভূয়া এমবিবিএস ডাঃ পরিচয় দিয়ে বিগত আড়াই বছর ধরে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও মুলাদী উপজেলার ছয়টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার করতেন। এসময় তিনি কৌশলে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রকৃত চিকিৎসক মোঃ জাকির হোসেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার বুধন্তি ইউনিয়নের কেনা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফরিদউদ্দিন ও আঙ্গুরা বেগমের ছেলে। তিনি দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যানেস্থেশিয়া কোর্সে অধ্যায়নরত রয়েছেন। অপরদিকে ওই প্রকৃত চিকিৎসক জাকির হোসেনের বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও নাম ব্যবহার করে ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া জাকির হোসেন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সহবতপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন ও জাহানারা বেগমের ছেলে।
উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাপারে কতিথ (ভুয়া) চিকিৎসক জাকির হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।