ঝালকাঠিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ী মাহতাব জাবেদ শামীম। বুধবার দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী জানান। এসময় তার স্ত্রী, সন্তান ও ব্যবসায়িক সহযোগিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ঝালকাঠি শহরে আমি থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসা পরিচালনা করে নিয়মিত পৌর কর ও আয়কর দিয়ে আসছি। নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে দেশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি নামে একটি মাল্টিপারপাস ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলাম। নজরুল ইসলাম জেলার নলছিটির সুবদিপুর গ্রামের সামসুদ্দিন হাওরাদারের পুত্র। তার গতিবিধি সন্ধেহের কারনে আমি ঐ ব্যবসা থেকে অব্যহতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মূলধন ফেরত বাবদ তিনি গত ২৩ জুন ২০২২ ইং তারিখে ৭লাখ ২৩হাজার ৫০০ টাকা দিতে চায় । তাৎক্ষনিক নজরুল ইসলামের নামে কোন ব্যাংক চেক না থাকায় তার ২য় স্ত্রী জেসমিন বেগম এর এক্সিম ব্যাংক ঝালকাঠি শাখার একখানা চেকে ৬ লাখ ২৩ হাজার,৫০০ টাকা এবং বাকি এক লক্ষ টাকা নগদ দিবে বলিয়া অঙ্গীকার করে। পরে নগদ এক লাখ টাকাও দেয়নি এবং ৬ লাখ ২৩হাজার ৫শত টাকার চেকখানা ৩১ শে আগষ্ট ২০২২ তারিখে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করার কথা থাকলেও ঐ এ্যকাউন্টে টাকা না থাকায় যথারিতি আইনের ধাপ অনুযায়ী জেসমিন বেগমের নামে আমার চেকের মামলা করতে হয়েছে। যার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে জেসমিন বেগমের স্বামী নজরুল ইসলাম আমার নামে ৮লাখ- টাকা পায় মর্মে একটি কোর্ট পিটিশন মামলা করে। যাহা তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমানিত হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। জেসমিন বেগমের নামে চেকের মামলা করার পর থেকে নজরুল আমাকে পথে ঘাটে দেখলেই আমার গতিরোধ করে বিভিন্ন সময়ে মারার হুমকি ধামকি দিয়ে থাকত এবং জেসমিন কে দিয়ে ধর্ষন চেষ্টা মামলার হুমকি দিয়ে থাকে। এমনকি আমাকে হত্যা করার ও হুমকি দিয়ে থাকে। কাউকে কিছু জানালেও তেমন কিছু হতনা। তাছাড়া আমি ব্যবসা করি বলে আমার বিভিন্ন সময়ে শহরের আনাচে কানাচে যেতে হয়। যার ফলে আমি কোন ঝামেলায় জেতাম না এবং স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতাম। গত ২৮ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে মটরসাইকেল যোগে বরিশাল রওয়ানা দিলে ষাটপাকিয়া পেট্রোল পাম্প এর আগে লাল একটা প্রাইভেট কার (যাহার নং ঢাকা মেট্রো গ-২৫-১৬৬২) দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার পরিবার সহ সকলকে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সৌভাগ্য বসত আমি আমার পরিবার সহ বেচে ফিরি। ঐ গাড়িটি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নজরুল চালাচ্ছিল এবং সাথে তার আরও দুই সহচর ছিল। নজরুলের গাড়ী চালানো শেখা ও কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা স্বত্বেও সে হাইওয়েতে গাড়ী চালাচ্ছিল। সুতরাং আমি ও আমার পরিবার জীবন নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। এর পূর্বেও আমি বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনতে যাওয়ার সময় পর পর দুই দিন কলেজ মোড়ে আমার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করার ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি আমি আমার পরিবার, চলাচল ও ব্যাবসার কথা চিন্তা করে নিরবে হজম করে নেই। ব্যবসার তাগিদে শহরে ও শহরের বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। পাশাপাশি আমার সন্তানদেরকে নিয়ে স্কুল ও কোচিং এ যেতে হয়। এখন এই নজরুলের কু-পরিকল্পনার আতঙ্কে অবাধে চলাচল ও জীবন যাপন করতে পারছি না। এভাবে নির্যাতন ও আমাকে হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনা অব্যাহত থাকলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। কারন এই নজরুল ও তার সহোযোগিরা আমাকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে। গাড়ী চাপা দিয়ে হত্যার বিষয়ে গত ২৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ আমি নলছিটি থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাই প্রশাসনের নিকট স্বপরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কামনা করেন ব্যবসায়ী মাহতাব জাবেদ শামীম। এবিষয়ে নজরুল ইসলাম জানান, কোন কথাই সত্য না। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হেয় করার স্বার্থে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।