চাঁদাবাজির মামলায় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলামসহ চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন তূর্য এবং লালমনিরহাট পৌর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক। জানা যায়, গত বছর ১৯ আগস্ট রাতে লালমনিরহাট যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে যান বাদী হুমায়ুন কবির। আসামিরা আগে থেকেই সেখানে ওত পেতে ছিলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ইস্যু নিয়ে তারা বাদীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তাকে শায়েস্তা করতে সেখানে যান তারা। বাদীকে একা পেয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যরা ঘিরে ধরেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা চান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। রডটি তার ঘাড়ে গিয়ে লাগে। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বাদীকে আসামিরা ঘিরে ধরে মারধর করছেন। বাদী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে জোর করে ধরে পেটানো হয়। সে সময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করেন। এরপর গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। শুনানি শেষে বিচারক মামলার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। থানা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় এর আগে ছাত্রলীগের এই চার নেতাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।