ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলপৈতা বাজারের ইসলামী এজেন্ট ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের ২ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ ইব্রাহিম নামের এক গ্রাহক ।
কালীগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলপৈতা বাজারের ইসলামী এজেন্ট ব্যাংক শাখায় দীর্ঘদিন লেনদেন করে আসছিলেন মো: ইব্রাহিম নামের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। অনেক সময় ব্যাংকে না গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের কথামত তিনি বিকাশ এ্যাকাউন্ট ও নগদ এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে টাকা পাঠাতেন ।মো:ইব্রাহিমের হিসাব নাম্বারে(২০৫০৭৭৭০২৫৬৩৪১৩১২)জমা দিতেন শাখা ব্যবস্থাপক।এভাবে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত শাখাটিতে মো: ইব্রাহিম প্রায় ১১ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন।পরে সেখান থেকে সব টাকা গ্রাহক তুলতে পারলেও ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা তুলতে পারেননি। এ সময় তিনি শাখাটির ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে,তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।পরে ২ লাখ ৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে গ্রাহক মো: ইব্রাহিমকে হয়রানি করতে থাকেন। মো: ইব্রাহিম শুক্রবার কালীগঞ্জ থানায় শাখাটির ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলামের নামে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মো: ইব্রাহিম জানান, ব্যাংকের পাশেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শাখা ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম আমাকে বলতেন তোমাকে ব্যাংকে যাওয়া লাগবে না। তুমি টাকা আমার মোবাইল ফোনে দিও। তার কথা শুনে ভুল করেছি,এখন তার খেসারত দিচ্ছি ।
উল্লেখ্য,এর আগে মঙ্গলপৈতা বাজারের ইসলামী এজেন্ট ব্যাংক শাখা থেকে ৫০ জন বিদ্যুত গ্রাহকের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছিল শাখাটির ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সে সময় গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিদ্যুত বিলের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন শাখাটির ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর ১৫ লাখ টাকা টাকা আত্নসাতের অভিযোগে ঝিনাইদহের আমলি ম্যাজিষ্ট্রেট(কালীগঞ্জ) আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলার নথি ও গ্রাহকের অভিযোগের কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।অভিযোগের ব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপল তরিকুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহারিত মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু আজিফ জানান,আমি বাইরে আছি।অভিযোগ থানায় গিয়ে অবশ্যই দেখবো।