খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষনদ পায়ে হেঁটে পার হলেও দিতে হচ্ছে যাতায়াত টোলের টাকা। একসময় কপোতাক্ষ ছিল খর¯্রােতা। পারাপারের জন্য খেয়া ঘাট ছিল। নৌকায় চড়ে মানুষ পার হতো। সরকার ঘাট ইজারা দিতো। কিন্তু এখন কপোতাক্ষ নদে পানি নেই। হেঁটেই পার হতে হয়। খেয়া ঘাটের প্রসঙ্গ তো অবান্তর। তারপরেও ভরাট কপোতাক্ষের বুকে হেঁটে পার হতে গিয়ে মানুষকে দিতে হচ্ছে টোলের টাকা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছেন, টোল আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও এলাকাবাসীর অভিযোগ টোল আদায় বন্ধ হয়নি। টাকা তোলা হচ্ছে। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজারের সন্নিকটে কপোতাক্ষ নদে খেয়া ঘাট ছিল। এটি সরকারভাবে ইজারা দেয়া হতো। পরবর্তী সময়ে কপোতাক্ষ ভরাট হয়ে পড়লে ইজারা দেয়া বন্ধ থাকে। তবে অভিযোগ, ইজারাদার আগের মতোই অবৈধভাবে টোল আদায় করছেন। সরজমিন গিয়ে টোলের টাকা তুলতে দেখা যায়। এ বিষয়ে টোল আদায়কারী কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এলাকাবাসী টোল আদায় বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদ খননের জন্য নদে আড়াআড়ি বাঁধ দেয়া হয়। ওই বাঁধ দিয়ে আশাশুনি ও পাইকগাছা উপজেলার দুটি হাট-বাজারসহ পাশের এলাকার লোকজন যাতায়াত করে। বর্তমানে কপোতাক্ষে খনন চলছে। টোল আদায়কারী চাঁদখালী ইউনিয়নের কালিদাশপুর গ্রামের মিরাজ সরদারের ছেলে মইনুর সরদার বলেন, আমরা আগে টোল আদায় করতাম, সে অনুযায়ী টোল আদায় করছি। আর টোল আদায়ের বিষয়টি আমরা চাঁদখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে জানিয়েছি। যদি প্রশাসন বন্ধ করে দেয়, আমরা আদায় করব না। এ বিষয়ে চাঁদখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, টোল আদায়ের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে চাঁদখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সরদার বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। বর্তমানে ওই ঘাটে টোল আদায় বন্ধ। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, বিষয়টি আমি জানার পরেই টোল আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। এর পরও যদি কেউ টোল আদায় করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।