আগামী মঙ্গলবার (২১মে) যশোরের শার্শায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৬জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ (৬০), কালিয়ানি গ্রামের আফিল উদ্দীনের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আবদুল ওহাব (৪৫), ইদ্রিস (৪৫) অজ্ঞাত (৩৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমানসহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবী বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে রক্ষিত রাখে।বুধবার ঘটনার সময় রশিদ চেয়ারম্যান ওই দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার জন্য মোহাম্মদ আলীর কাছে দোকানের চাবী চাইলে তিনি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।এসময় তিনি ওই দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।
পরবর্তীতে রশিদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তি জসিমের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয়টি বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে অবগত করেন। পরবর্তীতে তরিকুল মেম্বর, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার ও সাহেব আলীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৬ জন আহত হয়।
সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম।আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।এতে আমিসহ আমার ৬ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।