চতুর্থ ধাপের জেলার বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম ফারুক কর্মী সভায় উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার চেয়ে বড় গুন্ডা ও মাস্তান বানারীপাড়ায় নেই। প্রার্থীর দেওয়া এ বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে। ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন ভোট দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিত্বে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ এনে ১৫ মে বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম ফারুক গত ৯ মে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মহিষপোতা ফকির বাড়িতে কর্মী সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার চেয়ে বড় গুন্ডা ও মাস্তান বানারীপাড়ায় নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগকারী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, গোলাম ফারুকের এমন মন্তব্যে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভোট দিতে আসেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আশা করছি কমিশন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। অন্যথায় বানারীপাড়ায় সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা তা নিয়ে মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, আমার পুরো বক্তব্য খন্ডিত করে প্রচার করা হচ্ছে। ওখানে আমি দীর্ঘ বক্তৃতা করেছি। কথার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছি। বাস্তবতা হলো মাওলাদ হোসেন সানার নেতাকর্মীরা ভোটারদের পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, প্রার্থী মাওলাদ হোসেন সানার লিখিত অভিযোগটি আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী ৫ জুন বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।